আত্মপক্ষ সমর্থন করে আদালতে খালেদা জিয়ার বক্তব্য
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আদালতে আত্মপক্ষ সমর্থন করে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় বক্তব্য উপস্থাপন করেন।
বৃহস্পতিবার আদালতে বারবার নিজেকে নির্দোষ দাবি করে খালেদা জিয়া বলেন, এটা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
এর আগে তিনি দুই দফা আদালতে আত্মপক্ষ সমর্থন করে বক্তব্য দেন।
দুপুর পৌনে ১২টায় রাজধানীর বকশীবাজার আলিয়া মাদ্রাসায় স্থাপিত বিশেষ জজ আখতারুজ্জামানের আদালতে উপস্থিত হন খালেদা জিয়া।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে একতরফাভাবে বাতিল করে সরকার সাংবিধানিক সংকট সৃষ্টি করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন।
খালেদা জিয়া আরো অভিযোগ করেন, তাকে অবরুদ্ধ করে নাগরিক অধিকার হরণ করা হয়েছে তার বিরুদ্ধে চালানো হচ্ছে কুৎসিত অপপ্রচার।
দুপুরে বকশীবাজারে বিশেষ জজ আদালতে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুনীর্তির মামলায় আত্নপক্ষ সমর্থনে দ্বিতীয় দফার বক্তব্যে এমন কথা বলেন খালেদা জিয়া। আবারো সময় চেয়ে আবেদন করলে আগামী ২ নভেম্বর তার বক্তব্য শেষ করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
গত ১৯ অক্টোবর আংশিক বক্তব্যের পর আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার আত্নপক্ষ সর্মথনে অসমাপ্ত বক্তব্য দিতে বৃহস্পতিবার বেলা ১২টার দিকে বকশিবাজারের আলিয়া মাদরাসার বিশেষ জজ আদালতে আসেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
প্রায় ঘণ্টাব্যাপি বক্তব্য দেন তিনি। ফের বক্তব্য শেষ করার সময় চেয়ে আবেদন করলে আগামী বৃহস্পতিবার দিন নির্ধারণ করেন বিচারক ড. আখতারুজ্জামান। আত্মপক্ষ সমর্থনে দ্বিতীয় দফার বক্তব্যেও সরকারের নানা সমালোচনা করেন বিএনপি চেয়ারপারসন।
তিনি বলেন, দেশ আজ সাংবিধানিক সংকটে পড়েছে, নিজ বাসভবনে অবরুদ্ধ করে রেখে মিথ্যা মামলা দিয়ে সরকার তাকে হেনস্থা করেছে।
নানা স্মৃতিচারণার পাশাপাশি নিজেকে র্নিদোষ দাবি করে একসময় আবেগাপ্লুতও হয়ে পড়েন সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী।
বিএনপি চেয়ারপারসনের এই বক্তব্য মামলা সংশ্লিষ্ট নয় বলে অভিযোগ করেন দুদকের আইজীবী বলেন, তার বক্তব্য রাজনৈতিক, যা আইনবর্হিভূত।
তবে তার বক্তব্য যুক্তিসঙ্গত বলে দাবি করেন বিএনপি চেয়ারপারসনের আইনজীবীরা বলেন, এর আগে অন্য মামলায় দিনের পর দিন এভাবেই বক্তব্য দেয়া হচ্ছে।
জিয়া অরফানেজ ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় এর আগে গত ১২ অক্টোবর আদালতে হাজির না হওয়ায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে বিশেষ জজ আদালত।
গত ১৯ অক্টোবর জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন মঞ্জুর করে আদালত। ওই দিন বিশেষ আদালতে আত্মপক্ষ সমর্পণ করে জামিনের আবেদন জানান খালেদা জিয়া।
পরে আদালত জামিন আবেদনের শুনানি শেষে এক লাখ টাকা মুচলেকায় তার জামিন আবেদন মঞ্জুর আদালত জানায়, অনুমতি নিয়ে চিকিৎসার জন্য বিদেশ যেতে পারবেন খালেদা জিয়া।
ওই দিন জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থনে এক ঘণ্টা বক্তব্য দেন খালেদা জিয়া।
তার বক্তব্য শেষ না হওয়ায় পরবর্তী বক্তব্যের জন্য ২৬ অক্টোবর আদালত দিন ঠিক করে।
গত ১২ অক্টোবর আদালতে হাজির না হওয়ায় তার বিরুদ্ধে এ দুই মামলাই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে বিশেষ জজ আদালত।